তিনি বলেছেন, ন্যটো জোটের পূর্ব এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিস্তারের কারণে শুধুমাত্র আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়বে এবং আস্থার সংকট তৈরি হবে। রাশিয়ার ইতার-তাস বার্তা সংস্থাকে মঙ্গলবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
হানহুই আরো বলেন, ন্যাটো জোটের পূর্বমুখী অগ্রযাত্রার কারণে এ অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতার হুমকি সৃষ্টি হবে, আঞ্চলিক সহযোগিতা বিনষ্ট হবে এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ বাড়বে; এমনকি স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হবে।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকরাও একইভাবে সতর্ক করে বলেছেন যে, ন্যাটো জোট আর প্রথাগত সামরিক মিশনে সীমাবদ্ধ থাকছে না বরং তারা অত্যন্ত আগ্রাসীভাবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনকে ঘিরে ফেলার জন্য তাদের উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এজন্য তারা এশিয়ার মিত্র জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সামরিক সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করছে এবং চীনের আধা স্বায়ত্ত্বশাসিত নগরী হংকং এবং তাইওয়ানকে তারা তাদের প্রভাব বলয়ের মধ্যে পুরোপুরি নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে।
ন্যাটো জোটের এই প্রচেষ্টা সম্পর্কে হানহুই বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ন্যাটো জোটের উপস্থিতি বাড়ানোর বিরুদ্ধে খোদ ন্যাটো সদস্য দেশ বিরোধিতা করছে। এ সময় তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এটি যেহেতু উত্তর আটলান্টিক সামরিক জোট সে কারণে জাপান অবশ্যই এর বাইরে থাকবে।#
342/